“গল্প নয় বাস্তব,সাফল্য গাঁথা” সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক পরিচালিত পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের আওতায় সিলেট সদর উপজেলার, খাদিমপাড়া ইউনিয়নের মুড়িলা গ্রামের ২০ জন সদস্যের ০১ (একটি) কর্মদল, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, সিলেট সদর থেকে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ নেন, সাল টা ছিল ২০১৬ । কর্মদলের সভাপতি সুফলা ও তাঁর সহ ঋণ গ্রহীতা অন্যান্য সদস্যরা জন প্রতি ২০,০০০/- (বিশ হাজার টাকা) হারে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ গ্রহন করেন, তখন তাদের প্রত্যেকেই সেলাই মেশিন কিনে বাজারে দোকান ভাড়া নিয়ে আত্নপ্রত্যয়ী ও সঞ্চয়ী মনোভাব থেকে শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই সাবলম্বী হবেন, তা না সামাজিক দিক থেকেও নিজের ও পরিবারের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে নিজস্ব পুজি দ্বারা কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে সচেতনতা বোধ বৃদ্ধি সহ পরিবারে তথা সমাজে তার নিজস্ব অবস্থান মজবুত করাই ছিল তাদের প্রত্যয় । সুফলাদের গল্প থেকে একটি কথা মনে পড়ে গেল যে, এই পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন হলোঃ- “ আমাকে আমি করে, গড়ে তোলা” ।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল ভঙ্গুর, কিন্তু ঐ পরিস্থিতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত দারিদ্র পীড়িত, পশ্চাৎপদ, অবহেলিত, দুঃস্থ, অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আর্থিক ও সামাজিক দুই দিক থেকেই স্বনির্ভর ও আত্ন প্রত্যয়ী করার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে “পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম” চালু হয় যা দীর্ঘ পথ পেরিয়ে আজ-কে ১ম-৬ষ্ঠ পর্ব, বিশেষ বরাদ্ধ থেকে শুরু করে পল্লী মাতৃকেন্দ্র, দগ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের পূর্নবাসন কার্যক্রম ও সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান কর্মসূচি সহ বিভিন্ন খাতের মাধ্যমে সমাজে পিছিয়ে পড়া, অবহেলিত, বেকার যুবক, মহিলা, প্রতিবন্ধী , দরিদ্র কৃষক, শ্রমিক তথা দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন ।
এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট সদর উপজেলায় মুড়িলা গ্রামে ২০১৬ সালে ২০ (বিশ) জন সদস্যের কর্মদলের ১ম ঋণ নেওয়ার পরে শতভাগ কিস্তি পরিশোধের মাধ্যমে পরবর্তীতে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ সালে পুনঃবিনিয়োগের মাধ্যমে বর্তমান মুড়িলা গ্রামে ২ (দু্ই) টি কর্মদলের ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) জন সদস্য রয়েছে যারা প্রত্যেকেই যার যার অবস্থান থেকে আজকে স্বনির্ভর ও আত্মপ্রত্যয়ী । মহিলা কর্মদলের সদস্যরা আজকে নিজস্ব টেইলার্স শপের মাধ্যমে আরও কর্মপিয়াসু মহিলাদের সেলাই কাজের মাধ্যমে কর্মযজ্ঞ হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন আর পুরুষদের কর্মদলের সদস্যদের প্রতেক্যের নিজস্ব মুদি দোকান চালিয়ে পরিবার সহ আর্থ-সামাজিক দিক থেকে স্বচ্ছলতা পেয়েছেন ও স্বনির্ভরতায় হাসি হেসেছেন ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস